হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে, হযরত রসুলুল্লাহ (সঃ) ফরমাইয়াছেন ঃ তুমি যখন নামাযে দাঁড়াইবে তখন অন্তরে এইরুপ বাসনা করিবে যে, তুমি আল্লাহ তা’আলাকে দর্শন করিতেছ, যদি ইহা সম্ভব না হয় তবে ইহা ধারণা করিও যে, যদিও তুমি আল্লাাহকে দর্শন লাভ করিতে পার না কিন্তু তিনি তোমাকে দর্শন করিতেছেন। সুতরাং অতি খেয়ালের সহিত ভয় ও ভক্তি সহকারে অত্যাধিক নম্রতা ও আদবের সহিত নামায আদায় করিবে। তুমি এটি ভাবিয়া দেখ, দুনিয়ার কোন মানুষ যখন কোন আমীর-ওমরা, বাদশাহ্ বা উচ্চ পদস্থ কোন সরকারী কর্মচারীর সম্মুখে দন্ডাযমান হয় তখন সে কতটুুকু হুশিয়ারের সহিত আদব ও বিনয়ের সহিত দন্ডায়মান হইয়া থাকে। আর তুমি যখন সমস্ত বাদশাহের বাদশা আল্লাহ পাকের সম্মুখে দন্ডায়মান হইতেছ, তখন তোমাকে কতখানি আদব, নম্রতা, ভয় ও ভক্তির সহিত দন্ডায়মান হওয়া দরকার।
আর যখন তুমি নামাযে দাঁড়াইবে তখন তোমার অন্তরে এইরুপ ধারণা করিবে যে, তোমার সম্মুখে বেহেশত এবং পায়ের তলায় দোযখ রহিয়াছে। আর তুমি দোযখের উপরে পুলসিরাতে দাঁড়াইয়া রহিয়াছ। সামান্য একটু অসাবধানতা বা অন্যমনস্ক হলেই পুলসিরাতের উপর হতে দোযখের মধ্যে পতিত হইয়া যাইবে। যদি এই প্রকার ভয়-ভীতি, বিনয় ও নম্রতার সহিত হুশিয়ারের সঙ্গে নামায আদায় করিতে সক্ষম হও, তবে তোমার এই নামায আল্লাহর দারবারে আওলিয়াগণের নামাযের সমতুল্য হিসাবে গণ্য হইবে।
Leave a Reply